প্রত্যয় নিউজ ডেস্ক: এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে একমত হয়েছে সুদান। এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই পথে হাঁটছে সুদানও। যুক্তরাষ্ট্রেরই উদ্যোগেই দু’দেশ এ বিষয়ে একমত হয়েছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে, ইসরায়েল এবং সুদান শান্তি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে। দু’দেশ এমন সময় এ বিষয়ে একমত হলো যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম বাদ দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশটিতে অর্থনৈতিক সাহায্য এবং বিনিয়োগের দ্বার খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলছেন, কমপক্ষে আরও পাঁচ আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তির করতে আগ্রহী। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু এবং সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদকের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করে চুক্তি পাকা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আগামী ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগেই আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উঠেপড়ে লেগেছেন ট্রাম্প। এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের মধ্যস্ততায় গত ২৬ বছরের মধ্যে প্রথম আরব দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে আরব আমিরাত। এরপরেই বাহরাইন ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
হোয়াইট হাউস থেকেই ট্রাম্প এক ঘোষণায় বলেন, ইসরায়েল এবং সুদান শান্তি চুক্তির বিষয়ে রাজি হয়েছে। তার মতে, দু’দেশের জন্য এটা হবে অভাবনীয় একটি চুক্তি। একে মধ্যপ্রাচ্যে ‘রক্তক্ষয় ছাড়াই শান্তির চুক্তি’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গত দুই মাসের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়া তৃতীয় আরব দেশ হচ্ছে সুদান।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুদান এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দু’দেশ কৃষি, বিমান চলাচল এবং অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও জানানো হয়েছে। তবে কবে নাগাদ দু’দেশের মধ্যে বৈঠক হবে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে, সৌদি আরব, ফিলিস্তিন এবং অন্যান্য দেশও আগামী দিনগুলোতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে রাজি হবে। সুদানের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকের বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটা হবে তৃতীয় কোনো দেশ যেখানে আমরা এটা করেছি। আরও অনেক দেশই এই পথে এগিয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, সুদান ও ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিকের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে আরব আমিরাত। দেশটি বলছে, সুদানের নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, ফিলিস্তিন এই চুক্তিকে তাদের ‘পিঠে আরও একবার ছুরিকাঘাত’ বলে উল্লেখ করেছে।